নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের জান্তাশাসিত একটি আদালত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
শুক্রবারের দেয়া এই রায়ের ফলে বিভিন্ন মামলায় সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ এখন বেড়ে ২০ বছরে দাঁড়াল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটনপোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ এই দণ্ডের ফলে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের ভবিষ্যত আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল। ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেয়া দেশটির জান্তা সরকার সু চির দলকে ইতোমধ্যে নিষিদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে অনেক মামলা দায়ের করেছে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী দেশটির জান্তা সরকার।
এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রিত আদালতেই সেসব মামলার বিচার চলছে।
রয়টার্স বলছে, এখন পর্যন্ত রায় ঘোষণা করা বিভিন্ন মামলায় অং সান সু চিকে ১৭ বছরেরও বেশি করাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সু চি অবশ্য বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মিথ্যা বলে দাবি করে এসেছেন।
২০২০ সালের নভেম্বর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তবে ওই নির্বাচনে সু চি কারচুপি করেছেন বলে শুক্রবার রায় দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী।
বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। রাজধানী নেইপিদোর রুদ্ধদ্বার আদালতে সু চির বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে।
নির্বাচনে কারচুপির মামলায় সু চির সাবেক সরকারের দুই সিনিয়র সদস্যকেও আসামি করা হয়েছিল। তাদেরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
টিএইচ