মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচির বুধবার (১২ অক্টোবর) দুর্নীতির মামলায় এই জেল হয়েছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই নিয়ে নোবেলজয়ী নেত্রীর মায়ানমারে ২৬ বছরের কারাদণ্ড হলো।
মামলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, দুই দুর্নীতি মামলায় সু চির তিন বছর করে মোট ৬ বছরের জেল হয়েছে। এক ব্যবসায়ীর কাছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তার এই শাস্তি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ঘুষ থেকে শুরু করে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনসহ অন্তত ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সু চির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের মোট সর্বোচ্চ সাজা প্রায় ১৯০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন সু চি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়।
ওই সময় থেকেই বন্দি আছেন সু চি। মিয়ানমারের রাজধানীতে সামরিক জান্তার বিশেষ আদালতে তার রুদ্ধদ্বার বিচার চলছে। গণমাধ্যমকে এ বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেওয়া হচ্ছে না এবং খবরও ঠিকমতো জানানো হচ্ছে না।
এমনকি সু চির আইনজীবীদেরও সংবাদমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
টিএইচ