করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনে কোথাও কোথাও লকডাউন জারি করেছে দেশটির সরকার। লকডাউনের মধ্যে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে আগুনে ১০ জনের মৃত্যু পর সেখানকার বাসিন্দারা লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া হাজারো মানুষ শি জিন পিংয়ের কমিউনিস্ট পার্টির পদত্যাগের জন্য স্লোগান দিচ্ছেন।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) শহরটিতে বিক্ষোভের সময় সরকারের নেয়া জিরো কোভিড নীতির ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে সংক্রমণ ঠেকাতে বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দেশটির সুদূর পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে একটি মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ১০ জন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছে। লকডাউন ব্যবস্থার ফলে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ছড়ানো ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুসারে, শনিবার (২৬ নভেম্বর) ও রবিবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে চীনের বিভিন্ন শহরে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে মানুষদের শি জিন পিংয়ের ও কমিউনিস্ট পার্টির পদত্যাগ দাবি করে চিৎকার করতে শোনা যায়। রাজধানী বেইজিংয়েও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, জিনজিয়াং অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের শোক জানাতে শনিবার সাংহাইয়ের কেন্দ্রস্থলে শত শত মানুষ মোমবাতি জ্বালিয়েছেন। পূর্বাঞ্চলীয় শহর নানজিংয়েও চীনের কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটির কয়েক ডজন শিক্ষার্থী জিনজিয়াং অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের শোক জানাতে জড়ো হয়েছিল।
আল জাজিরা জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের সরকারি কর্তৃপক্ষ বিধিনিষেধ শিথিল করার পরেই সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে। নতুন করে শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় দেশটির রাজধানী বেইজিংসহ সব বড় শহরের বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব এখন অনেকটাই কমে এসেছে। বেশিরভাগ দেশে এখন নেই লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে চীনে। দেশটিতে গত ছয় মাসে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।
টিএইচ