অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি৭ দেশগুলোর বেঁধে দেওয়া তেলের দাম মানতে রাজি নয় রাশিয়া। রাশিয়া ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি৭ দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছে, তারা পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার এক ব্যারেল তেলের সর্বোচ্চ দাম ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়, যদিও ইউক্রেন চেয়েছিল এই মূল্য ৩০ ডলার করা হোক। আগামী সপ্তাহ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার ব্যাপারে কিভাবে পাল্টা জবাব দেওয়া যায়, সেই উপায় খুঁজছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শনিবার বলেছেন, রাশিয়া এই দর বেঁধে দেয়াটা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, রাশিয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় কমানোই অস্ট্রেলিয়া, ইইউ ও জি৭ নেতাদের উদ্দেশ্য। তেলের দাম কম নির্ধারণের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতিকে দুর্বল করে ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর অর্থের জোগান কমানোর চেষ্টা করছেন পশ্চিমা নেতারা।
সে জন্য তড়িঘড়ি করে ৫ ডিসেম্বর থেকেই তেলের নতুন দাম কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস শনিবার দিমিত্রি পেসকভকে উদ্ধৃত করে বলেছে, তেলের মূল্য নির্ধারণের জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে মস্কো।
পেসকভের বরাত দিয়ে শনিবার সংবাদ সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, রাশিয়া মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি মেনে নেবে না। ওই চুক্তি দ্রুত বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাশিয়া এর আগে একাধিকবার বলেছে, যারা বেঁধে দেওয়া মূল্যে তেল কিনতে চাইবে তাদের কাছে তেল বিক্রি করা হবে না। গত শুক্রবার রাশিয়ার উরালস ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৬৭ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে।
টিএইচ