গত ৫ জুন তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ করতে ছয় মাস মহাকাশে কাজ করার পর, নভেম্বরে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে রোববার (৪ ডিসেম্বর) শেনঝো-১৪ নামের মহাকাশযানে তারা চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল মঙ্গোলিয়ায় অবতরণ করেছেন বলে রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়। তিয়াংগং চীনের উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচির একটি প্রতীক। খবর- বিবিসি।
মহাকাশ স্টেশন ত্যাগের প্রায় ৯ ঘণ্টা পর রোববার তারা পৃথিবীতে অবতরণ করেন। ল্যান্ডিং সাইটের কর্মীরা তাদেরকে ক্যাপসুল থেকে বের করেন। তারা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন। চীনা মহাকাশ সংস্থা এই মিশনকে সম্পূর্ণ সফল বলে উল্লেখ করেছে।
মহাকাশচারী দলটির কমান্ডার ছিলেন চেন ডং। অন্য দুইজন হলেন- লিউ ইয়াং ও কাই জুজে।
মহাকাশ ত্যাগের পূর্বে তারা প্রায় পাঁচ দিন তাদের অন্য তিন সহকর্মীর সাথে মহাকাশে অবস্থান করেন। ওই তিন নভোচারী বুধবার শেনঝু-১৫ মিশনে ছয় মাস অবস্থানের জন্য তিয়াংগং-এ পৌঁছান। এটিই প্রথমবার যখন চীনের ছয়জন নভোচারী একসাথে মহাকাশে অবস্থান করছিলেন। মহাকাশ স্টেশনটির তৃতীয় ও সর্বশেষ মডিউলটি এই মাসেই স্টেশনটির সাথে সংযুক্ত করা হয়।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এদের মধ্যে লিউ ইয়াং চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী। তিনি বলেন, মহাকাশ স্টেশনের স্মৃতি কিছুতেই ভোলার নয়। একইসঙ্গে মাতৃভূমিতে ফিরতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত।
মহাকাশে থাকাকালীন এই তিন মহাকাশচারী তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় মডিউলের আগমনের তদারকি করেন। এছাড়া নতুন সুবিধাগুলো পরীক্ষার জন্য তিনটি স্পেসওয়াক করেন।
চীন ১৯৭০ সালে কক্ষপথে প্রথম স্যাটেলাইট স্থাপন করে। গত ১০ বছরে দেশটি দুই শতাধিক রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। ইতোমধ্যে শিলা নমুনা সংগ্রহের জন্য চাংই ৫ নামে চাঁদে মানুষবিহীন মিশন পাঠিয়েছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে পূর্ববর্তী মার্কিন পতাকার চেয়ে বড় পতাকা লাগিয়েছে চীন।
টিএইচ