নেপালের জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ১৯৭০-৮০ দশকের কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’ চার্লস শোভরাজ (৭৮) । বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ১৯ বছর ধরে কারাবন্দী ফরাসি অপরাধীর মুক্তির নির্দেশ দেন। পুলিশের সন্দেহ, ওই দশকগুলোতে ধারাবাহিকভাবে হওয়া অনেকগুলো খুনের জন্য দায়ী শোভরাজ। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সের নাগরিক শোভরাজ ২০ জনেরও বেশি পশ্চিমা ব্যাকপ্যাকারকে এশিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া ‘হিপ্পি ট্রেইলে’ হত্যা করেছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়। শিকারদের সবকিছু লুটে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সাধারণত তাদের খাবারে বা পানীয়তে মাদক মিশিয়ে দিতেন তিনি। তার শিকার অধিকাংশই বিকিনি পরা ছিল।
সোভরাজ যেভাবে হত্যা করেছিলেন তার জন্য তাকে `দ্য স্প্লিটিং কিলার` বলা হয়েছিল। হত্যার পর তার মসৃণ সরীসৃপের মতো পালানোর কারণে তাকে `দ্য সার্পেন্ট` ডাকনাম দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বের অপরাধ মানচিত্রের অন্যতম কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলার দিল্লিতে তিনজন পর্যটককে বিষ প্রয়োগে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের তিহার জেলে ছিলেন। বহুভাষিক সোভরাজ তার সুন্দর চেহারা এবং কমনীয় ব্যক্তিত্বকে শিকারকে আকৃষ্ট করতে ব্যবহার করতেন।
সোভরাজের বিরুদ্ধে একাধিকবার জেল থেকে পালানোর অভিযোগও উঠেছে। তিনি ১৯৮৬ সালে তিহার থেকেও পালিয়ে যান। কিন্তু কয়েকদিন পর গোয়ার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৯৭ সালে ভারত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সোভরাজ ফ্রান্সে যান। এরপর নেপালে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে দুই পর্যটককে হত্যার মামলায় নেপালের একটি আদালত সোভরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। প্রায় দুই দশক ধরে কারাবন্দী সোভরাজের মুক্তি মঞ্জুর করে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
টিএইচ