মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সুচিসহ সব গণতান্ত্রিক নেতার মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হয়েছে। গত ৭৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের প্রস্তাব পাস হলো। খবর আলজাজিরার।
প্রস্তাবে মিয়ানমার সামরিক জান্তা সরকারের কাছে সু চি এবং সে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মাইন্তসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
অং সান সু চিকে হটিয়ে গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক শাসন জারি করে জান্তা সরকার। এরপর জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিহত হন অনেক মানুষ। এ পর্যন্ত কারাবন্দি হয়েছে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ।
এরপর দুর্নীতি, জনরোষে মদদ দেওয়া, কোভিড বিধি ভেঙে নির্বাচনী প্রচার চালানোর মতো একাধিক অভিযোগে সু চিকে দফায় দফায় বিভিন্ন মেয়াদের জেলের সাজা দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালত। তাদের মুক্তি চেয়ে এবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ খসড়া প্রস্তাব পাস হলো।
এই প্রস্তাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবসানের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিরও আহ্বান করা হয়েছে।
২০২০ এর নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল মিয়ানমারে। সেই ভোটে বিপুল সংখ্যক আসন পেয়ে জিতেছিল সু চি-র দল। নির্বাচনী প্রচারের সময়ে সু চি একদিন তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন। কোনও জমায়েত না হলেও পথচলতি গাড়ি থেকে সু চি-কে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন অনেকে। তখন সু চি মুখোশ বা ফেস শিল্ড পরে ছিলেন না। সেই ঘটনাটিকেই ‘কোভিড বিধি লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ’ বলে চিহ্নিত করেছে মিয়ানমারের আদালত।
সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া, নির্বাচনী নিয়মনীতি লঙ্ঘন করাসহ অন্তত ১৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই সমস্ত অভিযোগেই দোষী প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১৯০ বছরের কারাবাস হতে পারে।
টিএইচ