প্রিন্স হ্যারি আফগানিস্তানে সামরিক দায়িত্ব পালনের সময় ২৫ জন তালেবানকে হত্যা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি। এতে তিনি গর্বিত নন, অনুতপ্তও নন। তিনি তার বইয়ে ২৫ ব্যক্তিকে হত্যার যে তথ্য জানিয়েছেন, তাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান প্রশাসন।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বিবৃতি দেন তালেবান নেতা আনাস হাক্কানি। তিনি জানান, হত্যার জন্য প্রিন্স হ্যারি যে দিনটির উল্লেখ করেছেন, সেদিন হেলমান্দে কোনো মুজাহিদ হতাহত হয়নি। এ থেকে স্পষ্ট যে, তালেবান সদস্য নয়, বরং বেসামরিক ও সাধারণ মানুষকেই হত্যা করা হয়েছিলো। একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেন এ শীর্ষ তালেবান নেতা।
তালেবানের মুখপাত্র খালিদ জাদরান ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘প্রিন্স হ্যারিকে আফগান প্রদেশ হেলমান্দে সবসময় স্মরণ করা হবে। আফগানরা তাদের নিরপরাধ দেশবাসীদের হত্যার কথা কখনই ভুলবে না।`
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধীদের একদিন আন্তর্জাতিক আদালতে আনা হবে। হ্যারির মতো অপরাধী যারা গর্বের সাথে তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে আদালতে হাজির করা হবে।`
জাদরান জানিয়েছেন, হ্যারি এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিষ্ঠুর ও বর্বর কর্মকাণ্ড আফগান জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের দিকে পরিচালিত করেছিল।
৩৮ বছর বয়সী প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, ২০০৭-০৮ সালে তিনি ফরোয়ার্ড এয়ার কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেছেন। আর ২০১২-১৩ সালে তিনি সামরিক হেলিকপ্টার চালাতেন। সেই সময় তিনি ২৫ জনকে হত্যা করেছেন।
প্রিন্স হ্যারি জানিয়েছেন, তিনি এর জন্য গর্বিত বা অনুতপ্ত কিছুই নন। এটা অনেকটা দাবার বোর্ড থেকে ঘুঁটি সরানোর মতো। হ্যারি লিখেছেন, ‘আমার সংখ্যা হলো ২৫। এটা আমাকে সন্তুষ্ট করে না, আবার এর জন্য কোনো অস্বস্তিও হয় না।’ আগামী ১০ জানুয়ারি প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হতে চলেছে। সেখানেই এসব তথ্য আছে।
টিএইচ