জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, পূর্ব এশিয়া পরবর্তী ইউক্রেন হতে পারে।
উদীয়মান চীন ও উত্তর কোরিয়ার বিপরীতে এক ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের অনুরোধও জানান তিনি।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) গ্রুপ অব সেভেন (জি-সেভেন)-এর প্রধান হিসেবে জাপানের দায়িত্ব পালনের বছরটি আরম্ভ করতে কিশিদা জার্মানি ছাড়া এ দলটির অন্তর্ভুক্ত বাকি সব দেশ সফর করেন।
জার্মানিতেও শিগগিরই সফরের পরিকল্পনা রয়েছে তার। ওয়াশিংটনে নিজের সফরের ইতি টেনে কিশিদা বলেন, পূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিবেশসংক্রান্ত সংকটের বিষয়ে ‘তার জোরালো অনুভূতিটি’ তিনি জি-সেভেন নেতাদের জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পর এক সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা বলেন, ইউক্রেন আগামী দিনের পূর্ব এশিয়া হয়ে উঠতে পারে। তিনি এ সময়ে এ দুই অঞ্চলের নিরাপত্তাবিষয়ক উদ্বেগগুলোকে ‘অবিচ্ছেদ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, পূর্ব চীন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে এককভাবে শক্তি প্রয়োগ করে ভারসাম্য পরিবর্তনের চেষ্টা এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালুর মাধ্যমে জাপানের আশপাশের পরিস্থিতি ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুতর হয়ে উঠছে।
এর মাধ্যমে কিশিদা আশপাশের সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান জোর খাটানোর বিষয়টির কথা উল্লেখ করেছেন। ওই সাগরের এলাকাগুলোতে চীনের জাপান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
চীন আগস্ট মাসে জাপানের সাগরের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করে। এটি তাইওয়ানের আশপাশে চীনের সামরিক মহড়ার একটি অংশ ছিল। তাইওয়ান একটি স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ, যাকে চীন নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
এবি