নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিনস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ১০:২০ এএম
নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিনস

জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের পর নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনস। বর্তমানে তিনি দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে ক্রিস হিপকিনস হলেন দল মনোনীত একমাত্র প্রার্থী। ফলে তিনিই জেসিন্ডা আরডার্নের উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন। তবে এ জন্য রোববার তাঁকে পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে।

দলের সমর্থন পাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী হতে আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকবে ক্রিসের জন্য। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জেসিন্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নর জেনারেলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এরপর গভর্নর জেনারেল রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষে ক্রিসকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।

লেবার পার্টি থেকে ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন ক্রিস হিপকিনস। পরবর্তীতে ২০২০ সালের নভেম্বরে তাঁকে কোভিড-১৯ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে করোনা মোকাবিলায় তাঁর নেওয়া পদক্ষেপ দারুণ প্রশংসিত হয়।

গত বছরের মাঝামাঝিতে দেশটির পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্রিস হিপকিনস। এ ছাড়াও তিনি শিক্ষা, জনসেবা মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পার্লামেন্টে দলীয় নেতার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আইনপ্রণেতা হিসেবে পার্লামেন্টে আসার আগে ক্রিস শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়েও কাজ করেছেন।

হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আরডার্ন। আগামী ১৪ অক্টোবর দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও জেসিন্ডা নির্বাচন পর্যন্ত পার্লামেন্টের সদস্য থাকবেন।

পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে জেসিন্ডা বলেন, তিনি পরিশ্রান্ত এবং নেতৃত্ব দেবার মতো তার ‘যথেষ্ট শক্তি নেই’। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তার এই সিদ্ধান্ত তার সমর্থক এবং সমালোচক উভয়কেই হতবাক করেছিল।

এছাড়া শুক্রবার নেপিয়ারে বিমানবন্দরের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তে কোনো অনুশোচনা নেই। দীর্ঘ সময় পর আমি লম্বা সময় ঘুমিয়েছি।

২০১৭ সালে প্রথম নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন জেসিন্ডা। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৭ বছর। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিউজিল্যান্ডের দায়িত্ব নেন।

তিনি বিশ্বে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকাকালে মা হয়েছেন। এ রেকর্ডে প্রথমস্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো।

এআরএস