জাতিসংঘের উপমহাসচিব আমিনা মোহাম্মেদের নেতৃত্বে একটি দল এ সপ্তাহে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের বার্তা পরিষ্কার, নারী অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে তালেবানের অধীনে নারী অধিকারের ওপর নেমে আসা খড়গ উঠিয়ে নিতে তালেবানের সঙ্গে জাতিসংঘের দুই শীর্ষ নারী কর্মকর্তার কথাবার্তা এগিয়েছে।
চার দিনের সফরে এ সপ্তাহে জাতিসংঘের উপমহাসচিব আমিনা মোহাম্মেদ ও ইউএন ওমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহুস আফগানিস্তানে যান। তাদের সঙ্গে আরও ছিলেন জাতিসংঘের রাজনীতি, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও প্রক্রিয়া বিষয়ক সহযোগী মহাসচিব খালেদ খিয়ারি।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) শেষ হওয়া এই সফরে তারা রাজধানী কাবুল ও দক্ষিণাঞ্চলের শহর কান্দাহারে তালেবানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এক বিবৃতিতে আমিনা মোহাম্মেদ জানান, তালেবান শাসকদের প্রতি তার বক্তব্য ছিল স্পষ্ট।
সেটি হলো, নারীদের শিক্ষা ও কাজ করার অধিকারের ওপর নতুন যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তাতে তারা নিজ ঘরে বন্দী ও অধিকারহীন হয়ে আছেন। আমিনা কান্দাহারের ডেপুটি গভর্নর মৌলভি হায়াতুল্লাহ মুবারকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গভর্নরের তথ্য অফিস পরে বিবৃতিতে জানায়, তালেবান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক চায়। তারা চায়, তাদের নেতৃত্বের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হোক।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, জাতিসংঘের এই দলটির সঙ্গে তালেবানের সহযোগিতামূলক আলোচনা হয়েছে। তারা কথাবার্তা এগুনোর ইঙ্গিতও পেয়েছেন। তালেবানের মধ্যে বেশ কয়েকটি নেতৃত্ব কাজ করছে। জাতিসংঘের দলটি এদের সবাইকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা করেছেন।
টিএইচ