ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র দমনপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় তেহরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিম এশীয় দেশটির মোল্লাতন্ত্রের ওপর চাপ বাড়াতে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তারা এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক এমনিতেই ভালো না, সেপ্টেম্বরে নীতি পুলিশ হেফাজতে কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যু কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতা দমনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির সরকারি বাহিনীগুলো যে ভয়াবহ দমনপীড়ন চালিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া করেছে।
মাহসা আমিনির মৃত্যু কেন্দ্র করে ইরান যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখছে, তাকে ১৯৭৯ সালে ইসলামে বিপ্লবের পর দেশটির শাসকগোষ্ঠীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলা হচ্ছে। তেহরান এ অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীকে দুষছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল ইরানের প্রভাবশালী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী (আইআরজিসি) ও বিক্ষোভ দমনের দায়িত্বে থাকা শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইআরজিসি কোঅপারেটিভ ফাউন্ডেশন ও এর পরিচালনা পর্ষদের ৫ সদস্যের ওপর; ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রী নাসের রাশেদি এবং আইআরজিসির ৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও তাদের কালো তালিকায় ঢুকেছে।
টিএইচ