৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি মাসে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা ১৯৭৫ সালের মে মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ। চলতি মাসে জাতীয় ভোক্তা মূল্য সূচক গত মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। এই মুহূর্তে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। সঙ্কট থেকে উত্তরণে দেশটি বিপুল পরিমাণের বৈদেশিক ঋণ সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তর জনসংখ্যগোষ্ঠীর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এখন ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। এটি দিয়ে কেবল তিন সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তারল্য সঙ্কটের কারণে করাচি বন্দরে হাজার হাজার কন্টেইনার পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে আছে। কালোবাজারে মার্কিন ডলারের দামের লাগাম টেনে ধরতে সরকার বিনিময় হারের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছে। এর ফলে রুপির দর রেকর্ড নিম্নে নেমে যায়। কৃত্রিমভাবে সস্তা পেট্রোলের দামও বাড়ানো হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ আমদানি ছাড়া অন্য কোনও পণ্যের জন্য এলসির অনুমতি দিচ্ছে না।
আমদানি বন্ধ এবং রুপির ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে শিল্পখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি নির্মাণ প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে গেছে, টেক্সটাইল কারখানাগুলি আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ধীর হয়ে গেছে।
বন্দর নগরী করাচিতে জাফর ইকবাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘সড়কে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে, শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি এতোটাই বেড়েছে যে, খাদ্যপণ্য কেনার মতো অর্থ থাকছে না।’ সূত্র: দ্য ডন
এবি