তুরস্ক-সিরিয়ার বাতাসে লাশের গন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম
তুরস্ক-সিরিয়ার বাতাসে লাশের গন্ধ

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর ৬ দিন পেরিয়েছে। বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে ধ্বংসস্তূপের চারপাশে লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। উদ্ধারকর্মী ও সাংবাদিকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার (১১ ফেব্রুয়রি) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ ও সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্যমতে, দেশ দুটিতে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৪৫৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কেই ২০ হাজার ৬৬৫ জনের মরদেহ রয়েছে। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫০০।

কয়েক হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে জীবিত উদ্ধারের আশা দেখছেন না তারা। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, এখন যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, তা হবে ‘অলৌকিক’ ঘটনা।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরার সাংবাদিক রিসাল সেরদার বলেন, চারদিকে লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেক মরদেহ বের করে নিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। সময় দ্রুত শেষ হয়ে আসছে।

ছয়দিন পরও তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের ধ্বসংস্তূপ থেকে দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ওই দুই নারী ১২২ ঘণ্টা আটকা ছিলেন।

জাতিসংঘ বলেছে, ভূমিকম্পের কারণে সিরিয়ায় নতুন করে ৫৩ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া দুই দেশে প্রায় ৯ লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন। তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা জরুরি ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।

সিরিয়ার অংশ তেমন মনযোগ পাচ্ছে না। তবে দেরিতে হলেও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকার। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

এআরএস