সিরিয়া-তুরস্কে ভূমিম্পের ভূমিকম্পের আটদিন পরও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভেসে আসছে জীবিতদের উদ্ধারের আকুতি। এখনো জীবিত মানুষ উদ্ধারের আশা ছাড়ছেন না তুরস্কের কর্মীরা।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারও (১৪ ফেব্রুয়ারি) ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত তিন বোনকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া কাহরামানমারাস অঞ্চলে ১৮ বছরের এক তরুণকে বিধ্বস্ত ভবনের নিচ থেকে তোলা হয়েছে। গত দু-এক দিনের মধ্যে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন।
এদিকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছানো নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাতের পাশাপাশি চলমান সংকট আরো জটিল করে তুলেছে মানুষের জীবন। বেঁচে ফেরা মানুষ পুড়ছে অনাহার ও ওষুধ সংকটে।
তবে মঙ্গলবার তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, তার দেশের বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত খাদ্য ও শীতবস্ত্র তৈরি রয়েছে।
তবে জাতিসংঘের সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস সিরিয়া সফরের পর গতকাল সোমবার বলেছেন, সময় যতই যাচ্ছে, জীবিত মানুষকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই কমে আসছে। এখন বিধ্বস্ত মানুষদের আশ্রয়, মনো-সামাজিক যত্ন, খাবার এবং অন্যান্য মৌলিক ও মানবিক সাহায্য জরুরি। এটাই এখন আমাদের অন্যতম বাধ্যবাধকতা।
দুর্যোগ পরিস্থিতিতে তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে আরো দুটি সীমান্ত ক্রসিং। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ।
প্রসঙ্গত, সরকারি হিসাবে এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত দুই দেশের ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে।
এআরএস