যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের বর্ষপূর্তির দু’দিন আগে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সংসদে দেওয়া এক ভাষণে এই চুক্তিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দেন তিনি।
পার্লামেন্টে ভাষণের শেষে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আজ এই বিষয়ে ঘোষণা দিতে বাধ্য হচ্ছি যে, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তিতে রাশিয়া তার অংশগ্রহণ স্থগিত করছে।
পরমাণু অস্ত্র সীমিত রাখতে ২০১০ সালে প্রাগে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’ নামে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এর মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে এর তিন বছর আগেই সেই চুক্তি থেকে সরে এলো রাশিয়া। খবর রয়টার্স’র।
বিশ্বে বর্তমানে রাশিয়ার কাছে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটির কাছে প্রায় ৬ হাজার ওয়ারহেড রয়েছে। নিউ স্টার্ট চুক্তি অনুযায়ী, এই দুই দেশের কেউই এক হাজার ৫৫০টির বেশি কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন করতে পারতো না।
পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনে রাশিয়ার বছরব্যাপী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈশ্বিক যুদ্ধে মস্কোকে পরাজিত করা যাবে, এমন ভুল বিশ্বাসে ভর করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সংঘাতের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধ এড়ানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করেছিল। কিন্তু পশ্চিমা-সমর্থিত ইউক্রেন রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। ২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের এই দ্বীপ ভূখণ্ড দখলে নেয় রাশিয়া।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে পরাজিত করা অসম্ভব।’ ৭০ বছর বয়সী ক্রেমলিনের এই প্রধান বলেন, রাশিয়া কখনই তার সমাজকে বিভক্ত করার পশ্চিমা প্রচেষ্টার কাছে নতি স্বীকার করবে না। বেশিরভাগ রাশিয়ানই যুদ্ধ সমর্থন করছেন বলে জানান তিনি।