হজের টাকা মার্কিন ডলারে জমা দিলে সেসব হজযাত্রীর জন্য ২৫ শতাংশ কোটা রাখার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্ম সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সরকারের কিছু সূত্র বার্তা সংস্থা এপিপি’কে জানিয়েছে, আগ্রহী হজযাত্রীরা বকেয়া অর্থ ডলারে জমা দিলে নতুন হজনীতির অধীনে ব্যালটিং থেকে অব্যাহতি পাবেন।
সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চালু করা ‘স্পন্সরশিপ স্কিম’ থেকে অন্তত ২২ হাজার ৪০০ হজযাত্রী উপকৃত হবেন। বিদেশি রেমিট্যান্সের মাধ্যমে হজের খরচ ডলারে জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য সংকটের কারণে হয়তো পাকিস্তানি হজযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় ২০০ কোটি ডলারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না।
সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয় বেসরকারি অপারেটরদের জন্য হজ কোটা ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ক্রমাগত বাড়তে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এর হার আরও বাড়ানো হতে পারে।
তারা বলেছে, পাকিস্তানি ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বছর প্রত্যেক হজযাত্রীর কাছ থেকে ১১ লাখ রুপি নেবে। তবে পাকিস্তানি মুদ্রার আরও অবমূল্যায়ন হলে হজের খরচ বেড়ে ১৩ লাখ রুপি হতে পারে।
এছাড়া, সৌদি আরবের সরকার হজে করের হার ১৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে বলেও জানিয়েছে সূত্রগুলো। সূত্র: জিও নিউজ
এবি