এবার ইরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে মনোযোগী হয়েছে দেশটি। এর ফলে দীর্ঘদিন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে। এর আগে দীর্ঘ সাত বছর পর ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে সৌদি আরব।
মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া হচ্ছে তেহরানের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের ফলে দামেস্ক ফের আরব-ব্লকে প্রত্যাবর্তন করতে পারে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দশকেরও বেশি আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এখন সিরিয়া ও সৌদি আরব আবারও তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ ছাড়া দামেস্কের সঙ্গে সংযুক্ত একটি আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রতিক যুগান্তকারী এক চুক্তির পর রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যে যোগাযোগে ব্যাপক গতি পেয়েছে।
রয়টার্স বলছে, রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আরব রাষ্ট্রগুলোর পদক্ষেপের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে বিবেচিত হবে। কারণ ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেক পশ্চিমা ও আরব রাষ্ট্র সিরিয়াকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে।
দামেস্কের সঙ্গে সংযুক্ত দ্বিতীয় একটি আঞ্চলিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে ‘ঈদুল ফিতরের পরে নিজেদের দূতাবাস পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দেশের সরকার।
এ ছাড়া আঞ্চলিক একটি সূত্র এবং উপসাগরীয় কূটনীতিকের মতে, সিরিয়ার একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে সৌদি আরবে আলোচনার ফল হিসেবে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরব সরকারের যোগাযোগ অফিস, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে সিরিয়া সরকারও মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
তবে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সৌদির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিশ্চিত করেছে যে, সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কনস্যুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করার জন্য আলোচনা চলছে।
বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রগুলো এসব তথ্য সামনে এনেছে।
আরএস