আজ এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে শুরু করে পুরো মাস নিরাপত্তা কাউন্সিলের দায়িত্ব থাকবে রাশিয়ার কাছে। নিরাপত্তা কাউন্সিলে স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্যসহ মোট ১৫টি দেশ রয়েছে। চক্রাকারে প্রত্যেক সদস্য দেশ এক মাস করে এ পদে সভাপতিত্ব করে। খবর সিএনএনের।
সাম্প্রতিক রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার এবারের সভাপতিত্বের বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হয়েছে। কারণ এর তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা। রাশিয়ার সভাপতিত্ব নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘এপ্রিল ফুলের সবচেয়ে সেরা জোকস এটি।’
রাশিয়ার কাছে এর আগে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সভাপতিত্বের দায়িত্ব ছিল। আর ওই মাসেই ইউক্রেনে হামলা রাশিয়া। এমন সময় রাশিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করেছে যখন দেশটির প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
ইউক্রেন ও স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতা সত্বেও স্থায়ী সদস্য হওয়ায় রাশিয়াকে আটকানোর কোন উপায় ছিল না। দায়িত্ব পাওয়ার পর রুশ দূত জানিয়েছেন, তিনি ‘নতুন বিশ্ব শাসন’ নিয়ে আলোচনা করবেন, যেটি তার মতে ‘এককেন্দ্রীক বিশ্ব শাসনের’ জায়গায় স্থান নেবে।
জাতিসংঘে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এই কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য হলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং চীন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ‘এটি আন্তর্জাতিক আইনকে আরেকবার ধর্ষণ করল। একটি দেশ যেটি আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ শুরু করেছে, মানবিক ও অপরাধের আইন ভঙ্গ করেছে, জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে, পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা উপেক্ষা করেছে, তারা বিশ্বের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থার নেতৃত্ব দিতে পারে না।’