তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন মার্কিন সফর থেকে ফিরে আসার একদিন পর দ্বীপটি ঘিরে তিন দিনের মহড়া শুরু করেছে চীনের সামরিক বাহিনী। শনিবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ এপ্রিল লস অ্যাঞ্জেলেসে মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট সাই। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দ্বিদলীয় প্রতিনিধি দল।
স্বশাসিত দ্বীপটিকে বরাবরই নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দাবি করে আসছে চীন। এ সফর ঘিরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দেশটি। সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড আজ এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, তাইওয়ান প্রণালী এবং তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বে ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী’ ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি টহল’ ও অনুশীলন করবে চীন।
এ মহড়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনো ধরনের বিরোধ সৃষ্টি না করে ধীরস্থির, যৌক্তিক ও গুরুতর মনোভাব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে তারা।
মন্ত্রণালয় আজ আরও জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাইওয়ানের উড়োজাহাজ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চারটি চীনা আকাশযান দেখা যায়। তবে এ সংখ্যা অস্বাভাবিক নয়।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অফিসিয়াল সংবাদপত্র দ্য পিপলস ডেইলি আজ এক মন্তব্যে বলেছে, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতার যেকোনো চেষ্টাকে ব্যর্থ করার শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে দেশটির। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা চীনের বৈধ ও আইনগত অধিকারের অন্তর্গত।
প্রেসিডেন্ট সাই বরাবরই বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তিনি বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিলেও বেইজিং তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে অভিহিত করে প্রত্যাখ্যান করেছে। সাই-এর মতে, শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।
এদিকে দুটি আমেরিকান সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। তাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকে আতিথেয়তা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জানিয়েছে, ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক হাডসন ইনস্টিটিউট ও ক্যালিফোর্নিয়ার রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা। নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিষ্ঠান দুটি চীনের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা, বিনিময় বা লেনদেন করতে পারবে না।
এআরএস