এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীর। স্থানীয় সময় রোববার ভোরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সে সময় আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অনেকেই।
তবে এই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভোর ৫টা ১৫ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে ২৮ এপ্রিল মাঝরাতে পর পর দু’বার কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীর।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছিল, সেদিন প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮ এবং দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের বাজুরা জেলার দাহাকোট। নেপালের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ওই দিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয়েছিল রাত ১২টায়। দ্বিতীয় কম্পন হয় রাত দেড়টা নাগাদ।
বার বার কম্পন হওয়ায় বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত সাহায্য পৌঁছানোর জন্য জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার (ইওসি) তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যেসব জেলাগুলো ভূকম্পনপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে সেসব জেলায় এই কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। শুধু ভূমিকম্পই নয়, যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে এসব কেন্দ্র।
কয়েকদিন আগেই ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার আফটার শকও অনুভূত হয়।
এইচআর