ইরান হরমুজ প্রণালী থেকে তেলবাহী একটি জাহাজ আটক করেছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি তেলের জাহাজ জব্দ করেছে তেহরান।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর এবং ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বুধবার (৩ মে) নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) ব্যস্ততম ওই নৌ রুট থেকে জাহাজ আটক করেছে।
পঞ্চম বহরের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায় বিপ্লবী গার্ডের কয়েকটি দ্রুতগতির জাহাজ তেলবাহী ট্যাংকারটির কাছে যাচ্ছে। সেটি পানামার পতাকাবাহী নিয়োভি জাহাজ বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, জাহাজটিকে জোরপূর্বক ইরানি জলসীমায় নিয়ে যায় বিপ্লবী গার্ড।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা মিজান জানিয়েছে, এক বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।
তবে বিপ্লবী গার্ড তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি তারা কোন জাহাজকে আটক করেছে এবং কী কারণে এটিকে থামানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগে ইরানের সেনাবাহিনীর নৌ সেনারা ওমান উপসাগর থেকে একটি জাহাজ আটক করে। মার্কিন পঞ্চম নৌবহর জানিয়েছে জাহাজ আটকের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ‘আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
তবে ইরান জানিয়েছিল তুরস্কের চালিত এবং চীনের মালিকানাধীন অ্যাডভান্টেজ সুইট নামের ওই জাহাজটি ইরানের একটি জাহাজকে ধাক্কা দিয়েছিল। এ কারণে এটি আটক করা হয়। ওই জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন কোম্পানির জন্য কুয়েত থেকে তেল নিয়ে টেক্সাসে যাচ্ছিল।
তবে পশ্চিমা দেশগুলোর সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে ইরানের একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিবাদে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি জাহাজ আটক করে।
তেলবাহী জাহাজ নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা অনেক পুরোনো। গত বছর মার্কিনিরা গ্রিস উপকূল থেকে ইরানের একটি কার্গো জব্দ করার চেষ্টা চালায়। এর জবাবে ইরান গ্রিসের দুটি ট্যাংকার জব্দ করে। যেগুলো কয়েক মাস আটকে রাখে দেশটি। কিন্তু পরবর্তীতে গ্রিসের আদালত ইরানি জাহাজটিকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর ইরানও গ্রিসের ওই দু’টি জাহাজ ছেড়ে দেয়।
এইচআর