সৌদি আরব এবং আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি আরেকটু বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। দেশ দুটি সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষেই তারা এই বিবৃতি জারি করছে। দুইপক্ষ আরো পাঁচদিন যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে।
যদিও ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। দুইপক্ষই সমানভাবে দোষী এবিষয়ে। বিক্ষিপ্ত লড়াই হয়েছে। তবে আগের চেয়ে লড়াইয়ের পরিমাণ কমেছে। আগামী পাঁচদিন লড়াই সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও সোমবার রাতে মর্টার এবং গুলির আওয়াজ শোনা গেছে।
আমেরিকা এবং সৌদি জানিয়েছে, গত সাতদিনে শরণার্থীদের কাছে খাবার এবং বাসস্থানের সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া গেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হয়েছে। আগামী পাঁচদিনও একই কাজ করা হবে।
লড়াইরত দুই পক্ষ অবশ্য শান্তি বৈঠকের টেবিলে প্রবল ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিল। দুইপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
সুদানে লড়াই হচ্ছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনীর। বাহিনীর প্রধান মোহামেদ হামদান দাগালো সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ বুরহানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। দাগালো জানিয়েছেন, রাষ্ট্রক্ষমতা দখল হলে তবেই তিনি লড়াই থামাবেন। দাগালোর বাহিনীতে যোগ দিয়েছে আরব যোদ্ধারাও।
সৌদি এবং আমেরিকা চেষ্টা করছে যুদ্ধবিরতি আরো বাড়িয়ে দুই পক্ষকে শান্তি আলোচনার টেবিলে বসাতে। তবে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে আন্তর্জাতিক মহলে।
এদিকে যুদ্ধের জেরে অন্তত এক মিলিয়ন মানুষ ঘর ছাড়া। তারা পার্শ্ববর্তী চাদের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ষা শুরু হলে তারা সেখানে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন না বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানিয়েছে।
এইচআর