ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভীয় অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকের আশপাশে একদিনে প্রায় ১৬০০ কম্পন রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে দেশটিতে অচিরেই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস বুধবার (৫ জুলাই) এই তথ্য সামনে আনে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে মাউন্ট ফাগরাডালসফলের নিচে এই ভূমিকম্পগুলো শুরু হয় বলে আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস (আইএমও) উল্লেখ করেছে।
মাউন্ট ফাগরাডালসফল মূলত আগ্নেয়গিরি সিস্টেমের উপরে অবস্থিত এবং সেখানে আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের এই রেকজেনেস উপদ্বীপে গত দুই বছরে দু’টি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মোটামুটি ১৬০০টি ভূমিকম্প টের পাওয়া গেছে এবং সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে রাজধানী এলাকায়। পুরো দিনজুড়ে অব্যাহতভাবে এই ধরনের কম্পন চলতে পারে বলে ধারণা করা যেতে পারে।’
এএফপি বলছে, এদিন আঘাত হানা চারটি কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে চারের বেশি। যাকে হালকা ভূমিকম্প বলে মনে করা হয়। এছাড়া ভূমিকম্পের এই ঘটনায় আইসল্যান্ডের আবহাওয়া সংস্থা তাদের অ্যাভিয়েশন সতর্কতা ‘সবুজ’ থেকে বাড়িয়ে ‘কমলা’ স্তরে উন্নীত করে।
মূলত রঙের এই কোডটি বিমান শিল্পকে অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস জানায়, যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ‘অগ্নুৎপাতের কম্পন’ পরিলক্ষিত হয়নি, তারপরও ‘আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে’ তেমন একটি কম্পন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে।
এএফপি বলছে, ইউরোপের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অঞ্চল হচ্ছে আইসল্যান্ড। দুই টেকটোনিক প্লেটের মাঝামাঝি অবস্থানের কারণে আইসল্যান্ডে নিয়মিতই মৃদুমাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে রাজধানী রিকজাভিক থেকে ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দূরে অবস্থিত মাউন্ট ফাগরাডালসফলের কাছে লাভা ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সক্রিয় আগ্নেয়গিরির বিরল এই দৃশ্য নিজ চোখে দেখতে হাজার হাজার পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করে থাকেন।
এইচআর