ভারত-পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিস্তৃত এলাকা ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনো দেশেই হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই ভূমিকম্প হয় উল্লেখ করে ভারতের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক জেএল গৌতম দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘জম্মু এবং কাশ্মির, পাঞ্জাব, দিল্লি এবং উত্তর ভারতের বেশ কিছু এলাকায় কম্পণ অনুভূত হয়েছে।
হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল এই ভূমিকম্পের উত্তপত্তিস্থল। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, হিন্দুকুশের ভূপৃষ্ঠের গভীরে ইউরেশিয়ান ও ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগ স্থলে এটি উৎপত্তি ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি।’
পাকিস্তানের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, হিন্দুকুশ পর্বতমালার আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ১৯৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার এবং আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়ার বেশ কিছু জেলায় কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
হিন্দুকুশ সংলগ্ন আফগানিস্তানের অঞ্চলগুলোতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে, তবে ঠিক কোন কোন এলাকায় এই কম্পণ বেশি অনুভূত হয়েছে—তা এখনও জানা যায়নি।
দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ভূপৃষ্ঠ মূলত ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান—দুই ধরনের টেকটোনিক প্লেটের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, গত কয়েক বছর ধরেই একটি বড় ইন্ডিয়ান প্লেট ক্রমশ উত্তর দিকে ইউরেশিয়ান প্লেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল অংশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদরা। সূত্র : এনডিটিভি, জিও টিভি
এইচআর