গাজায় আল-জাজিরার প্রতিনিধি ওয়ায়েল আল-দাহদুহের পরিবার ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আল-জাজিরা কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমাদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না, আমরা সত্য বলবই।
দাহদুহের পরিবার গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা ইসরাইলের নির্দেশনা মেনে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে এসেছিল। সেখানে বিমান হামলায় দাহদুহের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও নাতি নিহত হয়।
আল-দাহদুহ তার স্ত্রী আর ছেলে-মেয়ের লাশ নিয়েই সরাসরি সম্প্রচারে যোগ দেন। আল-জাজিরার আরবি উপস্থাপক তামের আলমিশাল বলেছেন, “আল-দাহদুহ হলেন ‘গাজার কণ্ঠস্বর’। ইসরাইল ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের টার্গেট করছে। এর ধারাবাহিকতায় তারা আল-জাজিরা আরবির গাজার ব্যুরো প্রধান দাহদুহের পরিবারকে হত্যা করেছে।”
তিনি বলেন, ‘আল-দাহদুহ সাংবাদিকতার জগত এবং গাজার স্তম্ভ। তিনি বছরের পর বছর ধরে গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ, যুদ্ধ, সাংবাদিকদের টার্গেট, নারী ও শিশুদের হত্যার সংবাদ প্রচার করেছেন।’
তামের আলমিশাল বলেন, ‘দাহদুহ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইসরাইল নৃশংস হামলা চালানোর পরও তিনি কাজ বন্ধ রাখেননি। তিনি প্রতিবেদন করে যাচ্ছেন এবং সেখানে যা ঘটছে তা বিশ্বকে জানানোর জন্য গাজা ত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন।’
‘দাহদুহের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। আমাদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না এবং আমরা বলতেই থাকব। প্রতিদিন যেখানেই নৃশংসতা চলবে, সত্য উদ্ঘাটনে সেখানেই আমরা ছুটে যাবো- এই অঙ্গীকার করছি।’
ইসরাইলের বিমান হামলায় দাহদুহের স্ত্রী, কিশোর ছেলে মাহমুদ ও সাত বছরের মেয়ে শাম নিহত হয়। ঘণ্টাখানেক পর জানা যায়, হামলায় তার নাতি আদমও নিহত হয়েছে। এছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যরা এখনো নিখোঁজ।
আল-জাজিরার গাজা প্রতিবেদক ইয়ামনা আল-সাঈদ বলেন, ‘দেখুন কী বেদনাদায়ক একটা ব্যাপার, আমরা রিপোর্টাররা সারাবিশ্বকে জানাই যে আমাদের চারপাশে কী হচ্ছে! আমাদেরই আবার পরিবার ও সহকর্মীদের মৃত্যুর খবর জানাতে হয়!’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ২২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা
এইচআর