জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাব আনে জর্ডান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেন পরিষদের ১২০ সদস্য। অন্যদিকে বিপক্ষে ভোট দেন ১৪ সদস্য। এ সময় ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৪৫ সদস্য।
খবরে বলা হয়, সাধারণ পরিষদে তোলা ওই প্রস্তাবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস ও নির্বিচার হামলাসহ’ সব সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দাও জানানো হয়। একই সঙ্গে বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা ও বাধাহীন ত্রাণ সহায়তার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া, প্রস্তাবে চলমান সংঘাতের সময় জিম্মি বেসামরিক ব্যক্তিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের নিরাপত্তা, সুস্থতা ও তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার আহ্বানও জানানো হয়।
খবরে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কোনো প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তা মেনে চলার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এই পরিষদের সদস্য হওয়ায় পাস হওয়া প্রস্তাবগুলোর নৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সঙ্গে উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে চরম মানবিক সংকটে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন তারা।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু। একই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অভিযানে ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
এআরএস