যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় ইন্টারনেট পুনরুদ্ধারে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তার এ প্রস্তাব ভালোভাবে নেয়নি ইসরাইল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি সরকার ইলন মাস্কের স্টারলিংকের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে জানা গেছে।
এর আগে এক পোস্টে মাস্ক লেখেন, গাজায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল ত্রাণ প্রদানকারী সংগঠনকে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করবে স্টারলিঙ্ক।
এই পোস্টের জবাবে ইসরাইলের জনসংযোগমন্ত্রী শোলমো কারহি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, যে করেই হোক ইসরাইল এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। এই ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে হামাস নিজেদের উগ্রবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি করবে। এই বিষয়ে আমাদের মনে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি আরো বলেন, সকল বন্দি এবং অপহৃত ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়ার পরিবর্তে এই পরিষেবা দিতে পারেন ইলন মাস্ক। তবে ততদিন মাস্কের স্টারলিঙ্কের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন থাকবে।
স্টারলিংক, মাস্কের স্পেসএক্স দ্বারা পরিচালিত। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পরপরই সেখানে সেবা কার্যক্রম প্রদান করে স্টারলিংক।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে `অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম` শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
গাজায় ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। সূত্র : সিয়াসত ডেইলি
এইচআর