জামিন পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট সাইফার (সরকারি গোপন তথ্য ফাঁস) মামলায় শুক্রবার তার ও পিটিআইয়ের সহ-সভাপতি মেহমুদ কুরেসির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু জামিন পেলেও ইমরান মুক্তি পাবেন কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। কেননা তার বিরুদ্ধে বহু মামলাই ঝুলে রয়েছে।
এর আগে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের হাইকোর্ট। এর ফলে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীরা শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার আগের দিন ইমরান খানের আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়।
আপিল খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইমরানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগের দোষী সাব্যস্ত হওয়া রায় স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্যই থাকবেন তিনি।
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ইমরান খানের আরেক আইনজীবী আলী জাফর জানিয়েছিলেন, কারাগারে বসেই লাহোর, মিয়ানওয়ালি ও ইসলামাবাদ আসনে লড়াই করবেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। একই সঙ্গে তার রাজনীতির ওপর ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।
যদিও ইসলামাবাদ দায়রা আদালতের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। দেওয়া হয়েছিল জামিনও। কিন্তু সাইফার মামলায় তাকে ফের গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু এই মামলায়ও তার এবার জামিন দিলেন সুপ্রিমকোর্ট। সূত্র: জিও নিউজ
এইচআর