গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যদি আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) রুল দেন, সে ক্ষেত্রে ইসরায়েল যতক্ষণ তা মেনে চলবে, হামাসও ততক্ষণ মানবে। গতকাল এ কথা বলা হয়েছে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের পক্ষ থেকে ।
বৃহস্পতিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা হামদান। ওসামা হামদান বলেন, ইসরায়েল যদি সব ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়, তাহলে হামাস গাজায় থাকা সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় সামরিক তৎপরতাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত আজ শুক্রবার ঘোষণা করবেন দ্য হেগের আইসিজে।
আইসিজে বলেছেন, গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় শুক্রবারের রায় হবে যুগান্তকারী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, আইসিজের আদেশ তিনি মানার বাধ্যবাধকতা অনুভব করেন না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।
গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরে আইসিজেতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিজেতে দুই দিনের শুনানি হয়। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন।
এইচআর