নানা সংঘাত-সহিংসতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন শেষ হলো। ভোট গণনারও সমাপ্তি ঘটলো। এখন পর্যন্ত ২৬৫টি আসনের ফল ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০৪ আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৫টি । নওয়াজ শরিফের দল ৭৪টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর ৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি। বাকি আসনগুলো অন্যরা পেয়েছেন।
ভোটের ফল নিয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারেন এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ও বিশ্লেষণের জুড়ি উঠেছে।
আসন প্রাপ্তির হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) ইতোমধ্যে সরকার গঠনের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট গঠনের দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি।
এদিকে পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরীফ, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে দেখা করে পিএমএল-এন - পিপিপি ৪৫ মিনিটের একটি সভা করেন। এই সভাতে তারা কেন্দ্রে ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছেন।
কিন্তু নির্বাচনের আগে থেকেই পিপিপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানের পরবর্তী নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে চান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনৈতিক বংশধর বিলাওয়াল ভুট্টো সম্ভাব্যভাবে দেশের শাসনব্যবস্থায় প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে পারেন বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এই অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে অনিশ্চয়তার একটি চিন্তা জুড়ে দিয়েছে।
ঠিক যখন দেশটির উন্নয়নের পথে হাঁটা উচিত ছিল, তখনই পাকিস্তানের রাজনৈতিক মঞ্চে অস্থিরতা চলছে। রাজনৈতিক এমন অস্থিরতা কমাতে জোটগুলিকে পুনরায় গঠনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
সেক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে করে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে শান্তি ফিরে আসতে পারে ।
সূত্র: সংবাদমাধ্যম জিও
বিআরইউ