চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে লোহিত সাগর। গাজা উপত্যকায় তেল আবিবের হামলার জবাবে লোহিত সাগরের নৌপথে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। এই গোষ্ঠীদের মোকাবিলায় পর-পর হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মত পশ্চিমা দেশগুলো।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়— হুতিরা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলায় তাদের ১৭ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহত এসব যোদ্ধার রাজধানী সানায় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
এ ঘটনায় হুতিদের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বোমা হামলায় নিহত সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর যোদ্ধাদের মরদেহ আজ রাজধানী সানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে জাঁকজমকপূর্ণভাবে তাঁদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের তালিকাও প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
তারও আগে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তাদের সামরিক বাহিনী হুতিদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীসহ বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতিকালে এ হামলা চালানো হয়।
যদিও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য। লোহিত সাগরের জাহাজে হামলার জবাবে এ জোট গোষ্ঠীটির ওপর পালটা হামলা চালিয়েছে।
ইয়েমেনের হুতিদের গোষ্ঠীদের দাবি, তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কিত জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে তারা ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে। দেশটিতে যে পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হবে, সে পর্যন্ত তারাও হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বিআরইউ