ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অ্যান্টার্কটিকার মালিক ইরান সরকার এবং সেখানে সামরিক স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের।
‘দক্ষিণ মেরুতে সম্পত্তির অধিকার আমাদের আছে। সেখানে আমাদের পতাকা উত্তোলন এবং সামরিক ও বৈজ্ঞানিক কাজ করার পরিকল্পনা করেছি।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ প্রচারিত সাক্ষাৎকারে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার শাহরাম এই কথা বলেন।
যদিও সাক্ষাৎকারটি গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দিয়েছিলেন শাহরাম ইরানি। ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সেটি প্রচারিতও হয়েছিল। তবে সেসময় সাক্ষাৎকারটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর নজর এড়িয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি ফক্স নিউজে সেটি প্রচারিত হয়েছে। তারপর থেকেই এই আলোচনা শুরু হয়েছে পশ্চিমা রাজনীতি ও সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জর্ডানে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। এরপর ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডারের এই দাবি নতুন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এদিকে কাতারে রাখা ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ৬০০ কোটি ডলার স্থগিতের আদেশ সম্প্রতি তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের দাবির সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের সংযোগ নিয়েও ভাবছেন অনেকে।
ফক্স নিউজ ডিজিটাল এ প্রসঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্রের কাছে জানতে চান, অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে সেই অর্থ ব্যয় করতে পারবে কিনা ইরান।
পররাষ্ট্র দফতরের ওই মুখপাত্র জবাবে বলেন, সেরকম কোনো সুযোগ নেই। কাতারে রাখা ইরানের তহবিল অ্যান্টার্কটিকায় কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এই তহবিলের অর্থ শুধু খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কৃষি পণ্যের মতো মানবিক ও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি।
বিআরইউ