একদিনেই কয়েক দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তাইওয়ান। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে কমপক্ষে ১০ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে কয়েক দফা ভূমিকম্প আঘাত হানলেও কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে স্থানীয় সময় মধ্যরাত ২টা ২১ মিনিটে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার (১৫.৫ মাইল)।
এর আগে কয়েক দফা ছোট আকারের ভূমিকম্প আঘাত হানে। এছাড়া পূর্ব উপকূলের হুয়ালিয়েন সিটি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে মধ্যরাত ২টা ৪৯ মিনিটে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার।
তাইওয়ানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতের পর মোট ১০ বার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জাতীয় দমকল সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে ডজনখানেক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে এসব ভূমিকম্প থেকে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দুই সপ্তাহ আগে দেশটিতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর গত সোম এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় আফটার শক অনুভূত হয়েছে।
দেশটির অল্প জনবসতিপূর্ণ হুয়ালিয়েন শহরে গত ৩ এপ্রিল ৭ দশমিক ২ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়। সে সময়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত তাইওয়ানে এক হাজারের বেশি আফটার শক অনুভূত হয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কারণে এসব দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। পরবর্তীতে সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।
দেশটির ভূমিকম্পবিষয়ক সংস্থার তথ্যমতে, তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সে সময় ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং প্রায় পাঁচশর মতো ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
আরএস