গেল ৫ বছরে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ওই বৈঠকে তাইওয়ানকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেবে না বলে জানায় চীন। বৈঠকে উপস্থিত দু’জন মার্কিন প্রতিনিধির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হেরে গেলে চীন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান মার্কিন প্রতিনিধিরা। পরে চীনের প্রতিনিধিরা এটি না করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেন। বেইজিং গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটিকে তার অঞ্চল হিসেবে দেখে। কিন্তু তাইপেই সরকার এই দাবি বরাবরই প্রত্যাখান করে আসছে।
ট্র্যাক টু টকস ধরনের এই বৈঠকের মার্কিন আয়োজক ডেভিড সান্টোরো বলেন, চীন পুরোপুরি নিশ্চিত যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে সক্ষম।
ট্র্যাক টু টকস অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত সাবেক কর্মকর্তা এবং শিক্ষাবিদ যারা তাদের সরকারের সঙ্গে কর্তৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আর ট্র্যাক ওয়ান টকসে সরকারের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়।
এ বৈঠকে ওয়াশিংটনের প্রায় ছয়জন প্রতিনিধি অংশ নেন। দু‘দিনব্যাপি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সাংহাইয়ের একটি হোটেলে। বৈঠকে বেইজিংও তাদের সাবেক সেনা কর্মকর্তা, স্কলার ও বিশেষজ্ঞদের পাঠায়। এ বৈঠকে মার্কিন সরকারের কোনো প্রতিনিধি ছিল না।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রয়টার্সের জানায়, তারা বৈঠকের বিষয়ে অবগত। এ ধরনের আলোচনা লাভজনক হতে পারে। তবে এ নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ গত বছর জানায়, বেইজিংয়ের কাছে ৫০০টি অপারেশনাল পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। ২০৩০ সালের সালের মধ্যে এ সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
বিআরইউ