ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৫০ পরীক্ষার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৫০ পরীক্ষার্থী

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪৫০ জন পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। যাদের এ বছর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল।

ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদিক আল-খাদৌর বলেছেন, ফিলিস্তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা যা দখল করা পশ্চিম তীরে শনিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল, গাজা উপত্যকায় বর্তমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ইসরাইলি সেনারা এ পর্যন্ত মোট ৪৫০ জন শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে, যারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে গাজা উপত্যকায় ৪৩০ জন এবং পশ্চিম তীরে ২০ জন রয়েছে।

আল-খাদৌর বলেছেন, পশ্চিম তীরে ৫০ হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিতে পারলেও চলমান ইসরাইলি হামলার কারণে গাজা উপত্যকার ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী সেটা পারেনি।

দক্ষিণ হেবরন অঞ্চলে সফরকালে সেখানে অনুষ্ঠিত হাইস্কুল পরীক্ষা পরিদর্শনের সময় ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা এ বছরের স্কুল পরীক্ষার তাৎপর্য তুলে ধরেন।

এ সময় ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে সেখানকার ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য মতে, ১৭ জুন পর্যন্ত উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৩২১টি প্রতিষ্ঠান আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হলেও, ইসরাইল তা লঙ্ঘন করে গাজায় ক্রমাগত নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হচ্ছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৮৬ হাজার ফিলিস্তিনি।

গত আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে এবং খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অবরোধের মুখে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।  -তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

আরএস