ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও তার দেহরক্ষীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে এই জানাজায় ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ি। খবর আলজাজিরার।
ইসমাইল হানিয়ার জানাজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। এই সময় শোকার্ত মানুষ ফিলিস্তিনি পতাকা জড়ানো বিভিন্ন পোস্টার নিয়ে আসেন।
জানাজার পরপর হানিয়ার লাশ তেহরানের বিখ্যাত আজাদি স্কয়ারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় লাশের সঙ্গী হন হাজারো মানুষ। একসঙ্গে এত মানুষ হওয়ায় শবযাত্রার মিছিল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
ইরানের সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফের ভাষণের মাধ্যমে জানাজার আনুষ্ঠানিতকা শুরু হয়। এ সময় তিনি বলেন, শহীদ ইসমাইল হানিয়া সারা বিশ্বের ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি শুধু একজন নেতা ছিলেন না। তিনি জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তেহরানের মাটিতে তাকে হত্যার জবাব না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের জবাবে সেখানে হবে। সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায়। আমাদের মাটিতে আমাদের অতিথিকে টার্গেট করে গুপ্তহত্যা করা আমাদের পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন।
এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তেহরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তিনি নিহত হন। এই হামলায় তার একজন দেহরক্ষীও প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ইরানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ও হামাসের তরফ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান ও হামাস।
আরএস