শিগেরু ইশিবাকে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ব্যবহার করে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইশিবার নিয়োগ অনুমোদন করেছে। ৬৭ বছর বয়সী ইশিবা বিদায়ী নেতা ফুমিও কিশিদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
পার্লামেন্টের ভোটের পর ইশিবা তার ১৯ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন। গত শুক্রবার এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনে কট্টরপন্থি সানায়ে তাকাইচিকে ২১৫-১৯৪ ভোটে পরাজিত করেন ইশিবা। এটাই ছিল গত সাত দশকের মধ্যে এলডিপির সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নেতৃত্ব নির্বাচন।
আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীসহ অন্তত তিনটি মন্ত্রিসভা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ইশিবা। তিনি আগেও চারবার এলডিপির নেতা হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন।
টোকিওর ইম্পেরিয়াল প্যালেসে আনুষ্ঠানিক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইশিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ নিশ্চিত করবেন জাপানের সম্রাট।
রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং নির্বাচন
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইশিবার প্রথম বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ হলো আগাম সাধারণ নির্বাচন ডাকা। আগামী ২৭ অক্টোবর নির্ধারিত এই নির্বাচনের ঘোষণা তার আনুষ্ঠানিক নিয়োগের আগেই এসেছিল। তবে বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে, নির্বাচন নিয়ে যথাযথ নীতিগত আলোচনা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি।
বিরোধী দলের প্রতিবাদের কারণে মঙ্গলবার পার্লামেন্টের ভোট সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়, যা ইশিবার নেতৃত্বের জন্য ভবিষ্যতে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
ইশিবা বলেছেন, আমি জনগণের মুখোমুখি হবো এবং তাদের সঙ্গে নীতিগুলো নিয়ে আন্তরিকভাবে আলোচনা করবো। আমার সরকার কোনো চ্যালেঞ্জ থেকে পিছু হটবে না।
এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জাপান শাসন করে আসছে। -সূত্র: আল-জাজিরা
আরএস