হামাসের অনুমোদন

অবশেষে ইসরায়েলের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ১১:৪২ পিএম
অবশেষে ইসরায়েলের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি

সপ্তাহজুড়ে আলোচনার অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি টানতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন

কাতারের আমির মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে স্বস্তি মিলতে যাচ্ছে গাজাবাসীর।

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আপাতত ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। এ সময়ের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে তিনজন করে জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে হামাস।

রয়টার্স বলছে, জিম্মি মুক্তির ক্ষেত্রে নারী ও ১৯ বছরের কম বয়সীদের আগ্রাধিকার দিবে হামাস। এ ছাড়া, প্রতি একজন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দিবে ইসরায়েল। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন নারী সদস্যের মুক্তির বিনিময়ে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন। এ প্রক্রিয়ায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিবে হামাস।

হামাসের নেতা খলিল আল-হায়া সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা চুক্তিতে সমর্থন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসরের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিও জানিয়েছে, হামাসের নেতারা চুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন।

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানান, হামাস শেষ মুহূর্তে নতুন শর্ত দিয়েছে। তারা বলেছে গাজা মিসর সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফি করিডর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরে যেতে হবে। যদিও খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা সেখানেই অবস্থান করবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে দুই পক্ষ রাজি হলে এটি অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যাবে। সেখানে ভোটাভুটি হবে। আর এই ভোটাভুটিতে অংশ নিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসরায়েলে চলে আসছেন। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে। যা সহজেই অনুমোদন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে জানতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত গাজাবাসী। তবে, এরই মধ্যে সেখানকার মানুষকে সতর্কবার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির জোর সম্ভানা রয়েছে। কিন্তু গাজার যেসব জায়গায় ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে, আপাতত বাসিন্দারা যেন সেখানে না যান।

বিবৃতিতে সংস্থাটি গাজার সব বাসিন্দার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, গাজায় আমাদের প্রিয় ফিলিস্তিনিদের প্রতি অনুরোধ, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আপনাদের আমরা সতর্ক করছি, যেখানে দখলদার সেনারা আছেন, সেখানে যাবেন না।

ইএইচ