ঢাকার দোহারের মৈনট ঘাট হতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির (২৮) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দোহার থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহত সানির বড় ভাইয়ের করা মামলায় ১৫ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে দোহার থানা পুলিশ। এরপর শনিবার (১৬ জুলাই) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, গত বৃহস্পতিবার ১৫/১৬ যুবক একসঙ্গে পদ্মা নদীতে ঘুরতে যায়। সন্ধ্যার পর সানি নামে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়।
রাতেই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোহার থানা পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল।
সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া অন্য ১৫ বন্ধুকে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তারিকুজ্জামান সানি বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের পঞ্চম সেশনের ছাত্র সানির বাবার নাম হারুন অর রশিদ। বাড়ি রাজধানীর হাজারীবাগে।
নিখোঁজ হওয়ার পর সানির সন্ধানে নামে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ডুবুরি দল। ওইদিন রাতে রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে মৈনট ঘাট থেকে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আমারসংবাদ/টিএইচ