জাহালমকে সাতদিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২২, ০৮:২৪ পিএম
জাহালমকে সাতদিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ঋণ জালিয়াতির ২৬ মামলায় জড়ানোয় তাকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

একই সঙ্গে আগামী সাতদিনের মধ্যে জাহালমকে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংকের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী ৩১ অক্টোবর শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার জজ আদালত। দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

ক্ষতিপূরণের রায় স্থগিত রেখে ওই ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সোমবার (২৯ আগস্ট) এই আদেশ দেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।  

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।  

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া রুলও জারি করেন আদালত।  

পরে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চেয়েছেন। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করেন।  

পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফ আই আর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট এবং সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেন।

এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল জাহালম কাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। পরে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি সম্পন্ন হয়। পরে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। 

রায়ে ব্র্যাক ব্যাংককে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। টাকা পরিশোধ করে এক সপ্তাহ পর রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  

চলতি মাসের শুরুতে এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর ব্র্যাক ব্যাংক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।  


টিএইচ