বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।
অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
পিটিশনকারী হাসান উজ জামান গণমাধ্যমকে বলেন, `আইন অনুযায়ী নগদের মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার কোনো কর্তৃত্ব নেই বলে হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন।`
তিনি বলেন, `মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস রেগুলেশন ২০২২ অনুযায়ী, শুধুমাত্র ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সরকারি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে পারে। কিন্তু নগদ আইন লঙ্ঘন করে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।`
ডাক বিভাগের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদকে একটি সাময়িক এমএফএস লাইসেন্স দেয়, যা আইনসিদ্ধ নয়। এ কারণে অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।