জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ তার পাঁচ সহযোগির বিরুদ্ধে করা অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। এসময় তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ১৭ মিনিটে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ সাক্ষ্য দেন।
এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে জয়সহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এসময় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তিনি আদালতে উপস্থিত হন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৪টায় আদালত ত্যাগ করেন জয়।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র অভিযোগে ২০১৫ সালে পল্টন থানায় এ মামলা করে পুলিশ।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
টিএইচ