জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ১ মার্চ শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এই আদেশ দেন।
এদিন সকালে আদালতে উপস্থিত হন সম্রাট। এ সময় তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি অভিযোগ গঠনে সময়ের আবেদন করেন। এ ছাড়া চিকিৎসার জন্য সম্রাটের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ১ মার্চ দিন ধার্য করেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদনের ওপর শুনানির জন্যও একই দিন ধার্য করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতে বেঞ্চ সহকারী ফকির মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর একই আদালতে একই মামলায় আদালতে হাজিরা দেন সম্রাট।
ওই বছরের ২২ আগস্ট একই আদালত সম্রাটের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। আদেশে উল্লেখ ছিল, সম্রাটকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আর জামিনের মেয়াদ হবে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত।
জামিন আদেশের পর তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
টিএইচ