‘ছোঁ-মারা’ চক্রের নেতৃত্বে মহাজন, গ্রেপ্তার ১৬

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম
‘ছোঁ-মারা’ চক্রের নেতৃত্বে মহাজন, গ্রেপ্তার ১৬

রাজধানীর বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগসহ দামী জিনিসপত্র ছোঁ-মেরে নিয়ে যাওয়া চক্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করে কয়েকজন। চক্রে মহাজন হিসেবে পরিচিত এই কয়েকজনই ছিনতাইকৃত পণ্য কিনে নিয়ে নির্ধারিত স্থানে বিক্রি করেন।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন মহাজনসহ এই চক্রের ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মিজান, আমিরুল ইসলাম বাবু, শরীফ হোসেন, রিদয়, রাজ, সুমন, সোহেল বাবু, রিদয়, মনিরুজ্জামান, নাজমুল, মনির, ইমরান, ফারুক, আশরাফুল ইসলাম সজিব, আরিফ ও হাসান।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল, ৫০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল, ৪টি চাকু, দুই জোড়া স্বর্ণের দুল এবং নগদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ডিবিকে বলেছে, প্রতিদিন ১০০ জন লোক শহরের রাস্তায় ঘোরাফেরা করে এবং মহাজন (গ্যাং লিডার) তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। সেই হিসেবে শহরে প্রতিদনি গড়ে ৩০০ মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। 

তিনি জানান, বাস বা গাড়ির জানালার পাশে বসে যখন কেউ ফোনে কথা বলে বা নেট ব্রাউজ করে তখনই ছিনতাইকারীরা ফোনগুলো চুরি করে। পরে মহাজনরা তাদের কাছ থেকে কম দামে ফোন কিনে নেয়।  

ডিবি প্রধান জানান, সস্তা ফোনগুলো সরাসরি বিক্রি করা হলেও দামী ফোনগুলো খুলে শুধু যন্ত্রাংশ বিক্রি করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাং লিডাররা ফোনের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করে।

ডিবি কর্মকর্তারা নগরবাসীকে এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনার পর সাধারণ ডায়েরি করার অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্তত হটস্পটগুলো খুঁজে বের করতে পারে।

এ বিষয়ে রাজধানীর উত্তরখান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

টিএইচ