সাঈদীর জানাজার দাবিতে বিক্ষোভ, কারাগারে ১৬

আদালত প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম
সাঈদীর জানাজার দাবিতে বিক্ষোভ, কারাগারে ১৬

ঢাকার বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবনা জানাজা পড়ার দাবিতে শোক দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড এবং আওয়ামীলীগ কর্মী ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ১৬ জনকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা এ আদেশ দেন।

এর আগে আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সুজানুর ইসলাম। তার আবেদন মঞ্জুর করে আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. ইমতিয়াজ চৌধুরী, মো. সজল মোল্লা, মো. সাহাবাজ হোসেন, মনির হোসেন, মো. তারেক হাছান, মো. মনজুর, মো. উজ্জ্বল মিয়া, মো. মতিউর রহমান, মো. আলামিন, মো. আলী, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন, মো. জামিনুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, ইউসুফ ফকির, রহমাতুল্লাহ।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১৫ আগস্ট দুপুর ১.২০ মিনিটে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে যোহরের নামাজ শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারবর্গের সদস্যগণের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন হয়।

তখন উপস্থিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদের ভিতরে অতর্কিত আক্রমণ এবং এলোপাথারি মারধর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাদের হামলায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে শোক দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।

এরপর তারা সেখান হতে বের হয়ে বেলা ২ টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটের সামনে হতে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা আয়োজনের দাবিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে আসামিরা রাস্তায় বিক্ষোভ বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু আসামিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা করেন৷ এসময় পুলিশের এএসআই মো. জুবায়ের আলমসহ কয়েকজন জখম হন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উক্ত ১৬ জনকে আটক করে।

এ ঘটনায় পল্টন থানা পুলিশের এসআই মো. সালাহ উদ্দিন কাদের বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এআরএস