ফেনীতে ভাগ্নেকে গলাকেটে হত্যার দায়ে মামাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৭ নভেম্বর) ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম আদালতে আসামির উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নুর আলম জেলার সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফাজিলপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট বিকাল বেলায় নেশার টাকা না পেয়ে নিজ ভাগিনা ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনসুর আলম (১০) কে বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে নুর আলম।
পরদিন স্থানীয় বোয়াইল্লা খাল পাড়ের মর্তুজার জমি থেকে শিশু মনসুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় স্থানীয়রা ওই দিনই নুর আলমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরবর্তীতে নুর আলম নিজ হাতেই ভাগিনাকে খুন করার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ মামলার একমাত্র আসামি নুর আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন এসআই আজিজ আহাম্মদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানান, এ মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে একমাত্র আসামি নিজ ভাগ্নেকে হত্যার দায়ে মামা নুর আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম।
আদালতের এপিপি ফরিদ আহাম্মদ হাজারী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর ২০১৬ সাল থেকেই আসামি জেল হাজতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ দণ্ড প্রদান করেছেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এআরএস