ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের সব মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের পূর্বশর্তই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগিয়ে তোলা। তাই দেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রোববার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব; স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন। ছোটবেলা থেকেই তার মাঝে এই গুণটি ছিল। তিনি মানুষকে ভালোবেসে তাদের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এমনকি, নিজের জীবন দিয়ে তিনি এ দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করে গেছেন।
ওবায়দুল হাসান বলেন, অর্থনৈতিকসহ সব ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করতে গেলে রাষ্ট্রের যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে সবার মধ্যে সহমর্মিতা। আর তার পূর্বশর্তই হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একটি দেশকে গড়ে তোলা।
সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের শিশু সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী তার আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রধান বিচারপতিকে উপহার দেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান বিচারপতি শিশুদের হাতে চকলেট তুলে দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এর আগে আজ সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি।
বিআরইউ