সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
রোববার (৯ জুন) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার (৯ জুন) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ সাইফুল আলম।
গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র সমাজ’র ব্যানারে ছিল প্রতিবাদ কর্মসূচি।
তাদের দাবি, রায় প্রদানের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে আমলে নেননি হাইকোর্ট। তাই আদালতের এই রায়কে প্রত্যাখান করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরএস