শপথের আগেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথের বৈধতা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপতি জানতে চাওয়ার পর এমন মতামত দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে বৈধতার প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি মতামত জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট রুলিং দিয়ে জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণে এ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
গেল ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এতে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়। রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলে সংকট আরও বাড়ে। এর আগে এমনভাবে সাংবিধানিক সংকট রেখে দেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেননি। এমন পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার।
তাদের শপথ নেয়ার আগেই প্রশ্ন ওঠে এর আইনি বৈধতা বিষয়ে। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র একাধিক আইনজীবীর মতামত নেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ-জামান।
যাতে উঠে আসে, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের রুলিং নিলেই কেবল সাংবিধানিক সংকট কাটবে। নতুন সরকার শপথ নিলে কোনো সাংবিধানিক সংকট হবে কিনা সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই মতামত চেয়ে পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এ বিষয়ে নজিরবিহীনভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ভার্চুয়ালি বসে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে অংশ নেন নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
প্রায় ঘণ্টাখানেকের শুনানি শেষে ১৭ পৃষ্ঠার রুলিং দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বলেন, শপথ নেওয়ার সাত মাসের মধ্যে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে গেছেন। এ মুহূর্তে দেশে একটি মধ্যবর্তী সরকার দরকার। কাজেই ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার শপথ নিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই।
আদেশে আপিল বিভাগ আরও বলেন, দুর্যোগ মুহূর্তে এমনটি হতে পারে। ভবিষ্যতে যাতে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে, তাই এ বৈধতা দেওয়া হয় তাদের।
ইএইচ